Wednesday, May 2, 2012

কণিকা-২৥ যে কবিতা লেখা হয়নি তার গদ্য ভাষ্য









সর্বান্তিক বাংলা ইউনিকোড ফন্ট অহনলিপি-বাংলা১৪’ বিনামূল্যে ডাউনলোড করুন নিচের লিংকে ক্লিক করে:--




কণিকা-২

  
  
যে কবিতা লেখা হয়নি তার গদ্যভাষ্য
[গদ্য কবিতা]


২০১২

১০১ থেকে ২০০

-------------------
কণিকা -২
১০১ থেকে ২০০
-------------------



১০১
২৮/০৪/২০১২ শনি, সকাল
  
সুপুরি গাছের মাথাটা বাতাসে কোন্ দিকে ঝুঁকছে তা দেখে বোঝা যায় বাতাস কোন্ দিকে বইছে৤ তেমনি একটি লোকের কথাবার্তা আচরণ থেকে বোঝা যায় তার মতামত কী? 




১০২
০১/০৫/২০১২ মঙ্গল, দুপুর 


ট্রানজিট টাইম৤ চেতন থেকে চেতনার ওপারে যাবার কালে গায়ে ব্যথা, চলায় কষ্ট, রোগের বাসা৤ ট্রানজিট পিরিয়ডে এটা হবে, কিছুই করার নেই বটে, যতদিন না চেতনার ওপারে গমন ঘটে৥









১০৩ 
০১/০৫/২০১২ মঙ্গল, দুপুর 
 


যারা চিনি বেশি খায় তারা মোটা হয়৤ চিনি খেলে তা শরীরের বিপাকীয় প্রক্রিয়ায় অবশেষে তা ফ্যাট হয়ে ওঠে৤ আর ফ্যাট জমে পেটে৤ ভুঁড়ি হয়৤ চিনি আপাত মধুর বটে, যখন তা বেশি খাওয়া হয়, তখন কার্যত তা বিষ৥






   


১০৪


০১/০৫/২০১২ মঙ্গল, দুপুর
  
কবিতা তো লিখতে পারিনা তাই গদ্যে দুকথা লেখা-- নয়তো মনের ভাব
অ-লিখিতই থেকে যাবে৤ যারা কবি তারা এ থেকে নিটোল পদ্য বানাক৥

 
১০৫
০১/০৫/২০১২ মঙ্গল, রাত

সারা জীবন কাটল কুঁড়েমি করে, কলম নাড়াচাড়া করে কবিতা লিখে, সম্পদ আসবে কোথা থেকে? তাই তো কুঁড়ে ঘরই ভবিতব্য৤ খোলামকুচি নাড়াচাড়া করে তাই সময় কাটে৤ কুঁড়েমি করলে কুঁড়ে ঘরই হবে৥ 


 
১০৬
০১/০৫/২০১২ মঙ্গল, রাত

কপালের ফেরে রাজা হয়েছি৤ সেই কপালটাই টেনে নিয়ে যাচ্ছে সর্বত্র৤ কপাল যদি ভালো হয়, মন্দটা হবে কেমন করে? ভালোমন্দ নিয়ে ভেবে আর কী করব? হারাবার যদি হয় তা হলে হারাবে, মিছে ভেবে করব কী?


১০৭
০২/০৫/২০১২ বুধবার, সকাল
  
ভালো কিছু বলো, সুখের কিছু বলো-- দুঃখের সব কাঁদুনিই কি লেখার উপাদান? মানুষের অনেক দুঃখ, তাকে আর দুঃখে ভারাক্রান্ত করে কী হবে?


১০৮
০২/০৫/২০১২ বুধবার, সকাল

মানুষ অন্যের দুঃখে আনন্দ পায়৤ নিজের সঙ্গে মিলিয়ে দেখে৤ ভেবে আশ্বস্ত হয় যে একই উদাহরণ, একই রকম দুঃখী তার মতো আরও তো আছে-- তাই সমব্যথী সমদুঃখী হয়ে আনন্দ পায়৤ নাটকে নভেলে তাই এত দুঃখের কাঁদুনি, যেন হাট বসেছে দুঃখ বেচার৥


 
১০৯
০২/০৫/২০১২ বুধবার, সঙ্গব(সকাল ও দুপুরের মাঝের সময়)

দশ টাকা হারালে মনটা খুঁত খুঁত করে-- ইস্ টাকাটা হারালো৤ যদি দশ টাকা না হারিয়ে একশ‘ টাকা হারাত তবে মনটা আরও বেশি খুঁত খুঁত করত৤ টাকার মূল্যমানের উপরে খুঁত খুঁতটা নির্ভর করে৤ হাজার টাকা হারালে নিশ্চয়ই কাঁদতে বসতে! তা হলে মনে মনে ধরে নাও হাজার টাকা বরং তুমি পেয়ে গেছ-- আর তাই খুব খুশি হও৥



১১০
১৪/০৫/২০১২ সোমবার, রাত

  

টর্চটাকে  খুঁজতে হবে কোথায় আছে, ভালো হত টর্চটা পেলে, খুঁজেপেতে দেখা যেত কোথায় আছে টর্চটা পড়ে৤ হারিয়ে সেটা গেল নাকি, আছে সেটা কোথায় ওরে৤ টর্চটা পেলে ভালো হত, খুঁজেপেতে টর্চটারে৤






১১১
২৬/০৫/২০১২ শনিবার, সকাল



মনে মনে কত কী যে লিখি, কাগজ কলম খাতার সাধ্য কি তা ধরে! কত আঁকিবুকি কত যে ফাঁকি সেখানে নিত্য খেলা করে৤ স্বপ্নের জালের মতো তা বর্ণনারও বাইরে৤ ভাইরে, দু-চার কথা এখন যা লিখি তাতেই কথার তোড়ে ভেসে যাই, সাগরের মাঝে হাবুডুবু খেয়ে তখন হত প্রাণ বাঁচানোই দায়৤







১১২

২৬/০৫/২০১২ শনিবার, সকাল



ঢেউ লেগেছে জলে, বান ডেকেছে চারিভিতে৤ ছেলেদের বলি, সামাল সামাল৤ হারিয়ে যেও না বামাল৤ শক্ত করে ধরে রাখো খুঁটি, ভেসে যেও না বানে, বাঁচতে হবে সম্মানে৤ যেখানে ছিলে এতকাল-- তা টালমাটাল৤ মেয়েদের বলি, এই জাগরণ ধরে রাখা চাই, জয় হোক এতকাল ধরে অর্জিত জায়গাটা-ই৤ উড়াও কেতন, চাই এতকাল ধরে অর্জিত পুরোটা বেতন৤




১১৩
২৬/০৫/২০১২ শনিবার, সকাল

জয়ের জন্য আছে পৃথিবীটা৤ ক্ষয়ের জন্য আর বাকি আছে কি? যেটুকু পাবে সেটাই তো লাভ, যার নেই কিছু সেটাই তার কাছে অনেক মহান৤ হারাবার তো নেই কোনও ভয়-- পাবার জন্য মগ্ন, গভীর জীবন সাধনায়৤





১১৪
২৬/০৫/২০১২ শনিবার, সকাল

দূর থেকে তোমার চিত্র দেখি৤ দেবীর মতো মনে হয়৤ কাছে যেতে দেখি সেখানে বিন্দু বিন্দু ঘাম ভরা কামনায়৤ আরও ঘনিষ্ঠ হলে শুনি উষ্ণ শ্বাসের শব্দ, দূরে থাকা দায়৤ তুমি দূরে থাকো ছবির ভেতরে, যেন আকাশের তারার মতো চিরকাল দেবী মনে হয়৤





১১৫
২৬/০৫/২০১২ শনিবার, ১০টা সকাল


কখনও কখনও কারো কাছে মনে হতে পারে --ও বাবা, এ যে পৃথিবীটা নড়ে! পৃথিবীটা নাড়ানোর তাদের এই অভিলাষ সু্স্থ শরীরকে অসুস্থ করার সক্রিয় প্রয়াস৤ এসব বন্ধ হোক ভাই, স্বাস্থ্যের-- শরীরের বিকল্প নাই৤ যৌবনের প্রখর তাপে দিনটা বিভ্রমে অনন্ত মনে হয়৤





১১৬
২৬/০৫/২০১২ শনিবার, বিকেল

থোকা থোকা গোলাপি ফুলের ডালগুলো হাওয়ায় নড়ে৤ মনে হয় ফুলের মশাল নেড়ে তারা উৎসবে মেতেছে৤ বাতাস তাদের উৎসাহ দিচ্ছে, রোদের আলো তাদের নাচের মঞ্চে তুলে ধরেছে৤ নেচে নেচে তারা অকারণ উচ্ছ্বাসে মাথা নাড়ে৤ যৌবনধারা তাদের যেন উপচে পড়ছে খুশিতে মহা উল্লাসে৤ গোলাপি ঠোঁট তাদের তোমাকে আমন্ত্রণ জানায় সাগ্রহে৤

-- উৎফুল্ল৻




১১৭
২৬/০৫/২০১২ শনিবার, বিকেল
 
পিঁড়েরা এখানে ওখানে তাদের খাবার খুঁজে ফেরে নিতান্ত অরক্ষিতভাবে, তোমার সুরক্ষিত খাবারগুলো কোথায় আছে তারই সন্ধানে৤ ক্ষুদ্র তারা৤ পিঁপড়েরা পিঁপড়ের মতো ছোট, এক ফুঁয়ে উড়ে যায় দূরে৤ ক্ষুদ্র হলেও তাদের সমস্যা ক্ষুদ্র নয়, জঠরে তোমারই মতো অনল জ্বলে৤ ঘুরে ঘুরে দিনরাত অরক্ষিতভাবে তারই দায় সারে৤




১১৮
২৬/০৫/২০১২ শনিবার, বিকেল

অন্ধের মতো বয়ে চলে৤ চোখ নেই, মুখ নেই, নেই কোনও অবয়ব, বায়ু তবু  বয়ে চলে৤ রাতের আঁধারে হোক, কোংবা প্রভাতে, ধীরে অতি ধীরে, অথবা জোরে৤ মন্দির মসজিদ গির্জা প্যাগোডা কোনও কিছু নেই মানা তার ছুঁয়ে যেতে৤ সাগরের জল ছুঁয়ে, কিংবা দিগন্ত ভূঁয়ে তার নিতি চলা৤ স্পৃশ্য অস্পৃশ্য নেই, নর্দমার গন্ধ বয়ে ছুঁয়ে যায় মলিন পুরীষ, কোনও ভেদ নেই তার৤ গভীর আঁধারে একা যেতে ভয় নেই ভূত পরীদের৤ ঘুম নেই বিছানায় শুয়ে মার কাছটিতে৤



১১৯
২৬/০৫/২০১২ শনিবার, রাত


আমি তোমায় ভুলে থাকছি৤ এই দ্যাখো ভুলে থাকছি বললে ভুলই হবে যে-- মনে কবে রেখেছিলাম? পুরোটা ভুলে থাকার উপায় কী মা? ঠেকায় পড়ে পড়ছে তোমায় মনে৤ বয়সের ভারে না হোক রোগ উপাচারে যখন ক্লান্ত শ্রান্ত তখনই তো  তোমার কথা সামনে এসে পড়ে৤ পড়লে কী হবে, ফল কি পেকেছে ভাই রে?





১২০
০১/০৬/২০১২ শুক্রবার, বিকেল
 

খাবার সময়ে কেঁদেছিল সে৤ বড় দুঃখে৤ খাবার পছন্দ হয়নি তার৤ জাউ কি কারও পছন্দ হয়, যদি না ঠেকায় পড়ে খেতে বাধ্য হয়? এভাবেই চলল আহার, কীইবা তার উপায়ন্তর৤ শেষে সেই জাউ খাওয়া তার অভ্যেস হয়ে গেল৤ জাউ খেয়েই তার পোলাও খাওয়ার সাধ মেটাল৤






১২১
০১/০৬/২০১২ শুক্রবার, বিকেল


হাওয়া বইছে সুন্দর, গাছের পাতারা নড়ছে সর-সর৤ অলিন্দে বসে বাতাসের সুখ উপভোগ করতে চাইলাম৤ পাতারা নড়ছে দেখলাম জোর, অলিন্দে তার রেশ এলো না৤ চোখে দেখাই হল সার, সবেগে বায়ু বইবার৤




১২২
০১/০৬/২০১২ শুক্রবার, বিকেল

এক ইঞ্চি ফাঁকা আছে জমি এখনও, শিগগির প্রোমোটার ডাকো৤ বানাও বাড়ি সারি সারি উপরিতলে৤ সাব্বাশ, এসকল হোক মনুষ্য আবাস৤ তাতে পোকার মতো গাদাগাদি হবে, পরিবেশ ধসে যাবে? যাক, হোক না বাবা, আমাকেই বা কে দেখে?



১২৩

০১/০৬/২০১২ শুক্রবার, বিকেল




মানুষ যত বাড়ে কাতারে কাতারে, পরিবেশে সরাসরি তার প্রভাব পড়ে৤ প্রতিটি মুখের জন্য চাই অন্ন, চাই বস্ত্র, চাই যে আবাস, চিকিৎসা, বিনোদনও চাই, ফাঁকা চাই ফেলিবার শ্বাস৤ তব প্রেম সনে যেজন আছে বনে বা বিজনে, তাহারেও দিও প্রেম, হোয়ো না পাষাণ৤










১২৪

০২/০৬/২০১২ শনিবার, রাত




নয়না নামের মেয়েটি সুইসাইড করল৤ গভীর দুঃখে প্রবল হতাশা তাকে বিভ্রান্ত করে দিয়েছিল৤ টিভি সিরিয়ালে নায়কের মৃত্যু সে সহ্য করতে পারছিল না৤ শোকে দুঃখে সে আর কালক্ষেপ করেনি৤



নোট:-- নায়ক পরে অলৌকিক উপায়ে বেঁচে উঠেছিল, তবে সেটা আর নয়নার জানা হল না৤







১২৫

০২/০৬/২০১২ শনিবার, রাত




ভুলে গেলে কিছু আর করার নেই৤ তার খেসারত তো দিতেই হবে৤ অনেক আগে ট্রেন ছেড়ে গেলে, তা আর কি ধরা যায়? ট্রেন ছাড়ার নতুন সময়টা মনে রাখতে হবে, নয়তো স্টেশনে পৌঁছে দেখা যাবে ট্রেন তখন অনেক অনেক দূরে৤ ইন্টারভিউটা আর দেওয়া হল না৤ পরের ট্রেন সাত দিন পরে৤







১২৬

০২/০৬/২০১২ শনিবার, রাত




চোখা চোখা কথা শুনিয়ে দিল শুভ্রা৤ তার সাথে পেরে উঠল না প্রতিবেশী৤ এতকাল ধরে সিরিয়াল দেখে দেখে ভিতটা বেশ পাকা হয়েছে৤ কথা কেমন করে পেঁচিয়ে কূট করে বলতে হয় তা আর জানতে বাকি নেই তার৤ মা শঙ্কিত মনে মনে, এই মেয়ে বিয়ের পরে শ্বশুর বাড়িতে টিঁকতে পারবে তো?








১২৭

০৩/০৬/২০১২ রবিবার, সকাল




বন্ধুরে দেখি নাই কতকাল ধরে, না জানি বন্ধু মোর আছে কেমন ওরে৤ কত কথা, কত হাসি, কত গান করেছি এক সাথে সেই কালে৤ ও মোর সোনা বন্ধুরে, তুমি আছ কত দূরে, কী জানি তোমারে গ্রাসিছে কোন্ সাত সমুদ্দুরে৤









১২৮

০৩/০৬/২০১২ রবিবার, সকাল


বনে বনে ঘুরিলে দেখিবে অনেক পাখি, তারে কাহারে-বা হবে মনে হৃদয়ে তুলে রাখি৤ থাক সে পাখি হৃদয়ভরা, তারে খাঁচায় ভরো না৤ পাখি তবে আকাশহারা হবে, বন্দী করে তারে তোমার কোন্ প্রেম লতিকায় লবে?



১২৯
০৩/০৬/২০১২ রবিবার, দুপুর

মানুষের সবচেয়ে সুখের জিনিস হল দুঃখ৤ দুঃখের কাহিনি উপভোগ করার জন্য চারিদিকে ভীড় জমে যায়৤ দুঃখের কাহিনি বেচে বেচে সিনেমা, টিভির সিরিয়ালগুলো লাল হয়ে ওঠে৤



১৩০
০৪/০৬/২০১২ সোমবার, সকাল

শিশুদের কপালে বড় দুর্দিন এসে গেছে-- এবং আরও প্রবলভাবে আসছে৤ ‘আমি কম কীসে--’ মনোভাবে উদ্ধত রমণী৤ কে দেখে শিশুকে? সন্তান পালন কি পিতার সমর্থ কাজ? বের্নেভের্নে তাই তুলে নেয় শিশুকে আজ৤ শিক্ষার যত কদর্থ হয় ততো সুখ দূরে সরে যায়, শেষ হয় হয়তো-বা সংসার ভাঙায়৤





১৩১

০৬/০৬/২০১২ বুধবার, বিকেল





কচুরি পানার মতো ভেসে বেড়াতেই জন্ম যেন৤ বাপের কাছে বড় হল, শেকড় গাড়ল না, বাপের বাড়ি তার আসল বাড়ি নয়৤ বরের বাড়িই তার নিজের বাড়ি৤ অনেকের আবার সেটাও নিজের বাড়ি হয় না৤ ছানাপোনা নিয়ে ভেসে পড়ে অজানার উদ্দেশে৤ জীবনের শেষটা কাটে কারও তীর্থ স্থানে উঞ্ছবৃত্তি করে, কিংবা কাটে বৃদ্ধাশ্রমে৤ জন্মাবার আগেই কেউবা কন্যাভ্রুণ হবার অপরাধে অস্তিত্ব থেকে মুছে যায়৤







১৩২

০৬/০৬/২০১২ বুধবার, বিকেল




শিশু বোঝে না তার আনন্দভরা শৈশব৤ পিতার আশ্রয়ে, মাতার বক্ষে, প্রতিবেশীর প্রশ্রয়ে সুখের দিনগুলি তার কাটে৤ কিন্তু সে অবহিত নয়৤ যখন বোঝে, বুঝতে শেখে, শৈশব তার বহুকাল আগেই পার হয়ে যায়৤








১৩৩
০৯/০৬/২০১২ শনিবার, সকাল


সেই রত্ন খুঁজে ফিরি, যা আমি দেখিনি কখনও, যা আমি চিনি না সঠিক, আমি তা বুঝিনি কেমন৤ তবু তারে খুঁজে ফিরি-- খুঁজে ফিরি আজীবন৤ পাবো না বলেই হয়তো অনন্ত খোঁজাখুঁজি চলে৤ তারে পাবো কবে, নিশ্চিত নয়-- তবু তার খোঁজাখুঁজি আজীবন জারি রবে৤










১৩৪
০৯/০৬/২০১২ শনিবার, সকাল



সকলেই যদি খায়দায়, ঘোরে ফেরে, গান করে, তবে জগতে এত পাখি দিয়ে কী হবে? পাখার নানান বর্ণ, পৃথক ডাকের ধ্বনি যখন শুনি, পাখা মেলে ময়ূরের নাচনাচি যখন দেখি, মনে হয়-- এই তো বেঁচে আছি৤





১৩৫
১৮/০৬/২০১২ সোমবার, দুপুর


পদবি দিয়ে মানুষের জাত নির্ধারিত হয় না৤ জাত দিয়ে মানুষের উচ্চতা নির্ধারিত হয় না৤ মানসিকতাই মানুষের পরিচয়, সেখানে হিন্দু মুসলমান বৌদ্ধ খ্রিস্টান কোনও ব্যাপার নয়৤ কত বড় মানুষ-- এ কথায় বোঝায় কত বড় তার মন৤





১৩৬

১৯/০৬/২০১২ মঙ্গলবার, সকাল





শিশুদের কান্না শুনে চমকিত হয় তবুও এ পাষণ্ড হৃদয়৤ যদিও নিরপেক্ষ নির্বিকার থেকে যেতে চায়, চায় না বাঁধিতে নিজেকে সংসার মায়ায়, তবু অশ্রু ঝরে শুষ্ক এ হৃদয় ফুঁড়ে৤







১৩৭

২২/০৬/২০১২ শুক্রবার, রাত
খেপে খেপে বৃষ্টি আসে৤ আকাশে অনেক মেঘ কালো করে আছে চারিদিক৤ বৃষ্টি ঝরে গেলে মেঘমুক্ত হবে যে আকাশ৤ যদিও তার কোনও লক্ষণই নেই, বৃষ্টি কেবল ঝরে যায়৤ আলো ফুটবে কখন, বসে থাকি তারই আশায় আশায়৤




১৩৮

২২/০৬/২০১২ শুক্রবার, রাত



বাদল দিনে বৃষ্টি তো ঝরবেই৤ আকাশের কোণে মেঘ জমা হয়, আবার তা ঝরে যায়৤ তরুণ বৃষ্টি জমাট হয়নি এখনও, ফুস ফাস বৃষ্টি হয়, মেঘজমে-- বৃষ্টি হয়৤ ঝর ঝর ঝরে যায় জল-- এ এক ঈশ্বরের কল৤ কতবার ঝরে, কত কত জমে মেঘ কে তার হিসাব করে৤





১৩৯

২৩/০৬/২০১২ শনিবার, দুপুর


আমি কি আর কবি ভাইরে, আমার কথা কেইবা আর পড়ে, আমার কথায় এ জগতের কোন্ কীইবা নড়ে৤ হাজার ধ্বনির মাঝে আমার কণ্ঠ-- যায় না শোনা মোটে, কথা তখন হাজার শব্দে কেবলই যে গুঞ্জন হয়ে ওঠে৤






১৪০

২৩/০৬/২০১২ শনিবার, দুপুর
 

পৃথিবীর তিনভাগ জল, আর এক ভাগ স্থল৤ সাগরের ঢেউ এসে প্রবল আক্রোশে কেড়ে নিতে চায় ভূমির দখল৤ ছল ছল জল নাচে কলহাসে নিশিদিন ভেঙে নিতে চায় কূল প্রবল উচ্ছ্বাসে৤ যেটুকু যেখানে আছে ছোবলের ত্রাসে, ভেঙে নিতে চায় খল খল হেসে৤ যাহার অধিক আছে তাহারই অধিক চাই আরও-- তাই ঢেউ ধেয়ে আসে মারো মারো মারো৤




১৪১
২৩/০৬/২০১২ শনিবার, দুপুর
 

হাতা কি রন্ধন স্বাদ বোঝে, গরমে উত্তাপে সকালে বিকালে তার নাড়াচাড়া করা পটল কুমড়ো আলু জলে মাখা মশলার ভোজে৤ শুধু নির্বিকার নেড়ে যায় হাতা প্রতিদিন, এক দুই তিন করে, তার এইভাবে ভরে যায় খাতা৤







১৪২

২৫/০৬/২০১২ সোমবার, সকাল
 

জীবনের পাতাগুলো ফিরে পড়া আরবার, দেখ কোথায় কেমন সে ছিল৤ খাড়াই উতরাই জলাশয় ঊষর অহল্যাভূমি কোথায় কেমন ছিল? কেমন ছিল সে জীবনের জ্বালা, অথবা ছিল উচ্ছ্বাস কিংবা অবহেলা৤ সব কিছু ফিরে পড়ে নম্বর দাও, দেখ পাশ করেছ ভাল, কিংবা ডাহা ফেল, কেমন চলেছে বুঝে নাও জীবনের রেল৤





১৪৩

২৫/০৬/২০১২ সোমবার, সকাল


পশ্চিমের জানালায় বসে যখন সূর্য ডোবে ডোবে, জীবনের সবটা একবারে দেখতে পাবে৤ জীবন একটাই হয়, ভুলগুলো করেছিলে যাহা, তাহা আর শোধরাবার নয়৤ সুখের মুহূর্তগুলো ফিরে আর আসবে না কখনও৤ দুহাত তুলে ঈশ্বরের কাছে বলো, ঠিকভুল যেভাবে চালিয়েছ তুমি, দিনটা যে সেভাবেই গেল৤





 

১৪৪

২৫/০৬/২০১২ সোমবার, সকাল

 


এটা যে একমুখী পথ, আঁকাবাঁকা সোজা যেভাবেই চলো, ছাপোষা মানব কিবা দুষ্ট অসৎ , ফিরবার উপায় নেই ওহে, এটা যে ওয়ানওয়ে৤ তাই টিপে টিপে পা অতি সাবধানে সজ্ঞানে সামনে আগাও৤ চলতে চলতে পথে জীবনের জীর্ণ জঞ্জাল কুড়াও অথবা দুহাতে শুভেচ্ছার সাফল্যের ফুলমালা লও৤









১৪৫

২৫/০৬/২০১২ সোমবার, সকাল





জীবনের জলছবি, ভুল আঁকে তরুণ কবি৤ বৃদ্ধ যে-- হতাশায় ভোগে, প্রৌঢ় সমস্যায় জ্বলে, বাড়ি হবে কিনা, কন্যার বিয়ে কোথায় হবে, ছেলেটার চাকুরিটা খুবই নড়বড়ে৤ তরুণ কবি-- ভাবের আবেশে সূর্যকে হাতে ধরে, চাঁদের জোছনায় সিনান সারে৤








১৪৬
২৫/০৬/২০১২ সোমবার, সকাল
 
যেমন যেমন চাই, সবটা তেমন কোথায় পাবে? যাহা পাবার নয় তারই তরে তোমার হাত নিশপিশ করে৤ মনে জমে ভাবের কল্পনা-জাল, তারই তাল সামলাতে জীবন চলে কখনও সোজা, কখনও উলটো পথে৤ অমুক হল না, কিংবা হল না তমুক, কল্পনার ভাবজালে কেড়ে নেয় জীবনের-- যেটুকু পাওয়া যেত, সেই সব অপ্রাপ্ত সুখ৤



১৪৭
২৬/০৬/২০১২ মঙ্গলবার, সকাল
এ জগৎ যে অনিত্য-- নিত্য তা চোখের সামনে দেখেও মগজে ঢোকে না৤ যাঁরা এ বার্তা আমাদের জানিয়ে গেছেন তাঁদের দিকে বরং করুণার দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকি৤ দুগ্ধপোষ্য শিশুর কাছে কি মাছ মাংস পোলাও কোনও বার্তা বহন করে?



১৪৮
২৬/০৬/২০১২ মঙ্গলবার, সকাল
 
তোমার রুপোর গহনা হলে তুমি সোনার দিকে চাইবে৤ তোমার যদি সোনার হয় তো তোমার দিকেই সবাই তাকাবে৤ আগুনের পাশে ঘি থাকলে আগুনের তাপে ঘি  গলবেই৤ গলাটাই ঘিয়ের ধর্ম৤ ঘিকে যদি অবিকৃত স্বভাবিক রাখতে হয় তবে আগুন সরিয়ে নাও৤ দাউ দাউ আগুন হলে ঘি মুহূর্তে গলে যাবে, টিম টিমে আগুন হলেও তাপ তো দেয়ই, আগুন সেটা বুঝুক বা না-বুঝুক, ঘিয়ের গায়ে সেঁকা লাগে৤



১৪৯
২৬/০৬/২০১২ মঙ্গলবার, সকাল
 
অমহৎ ব্যক্তিরা আছে বলেই মহৎদের মূল্য বোঝা যায়৤ অমহৎরাই তো মহৎদের উচ্চে তুলে ধরে, নইলে মহৎদের চেনা যেত কী করে? অমহৎ হওয়া গৌরবের নয়৤ মহৎদের গৌরবে ভূষিত করার জন্য নিজ দেহে ‌অগৌরবের কালি লাগিও না৤

 


১৫০
২৬/০৬/২০১২ মঙ্গলবার, সকাল
 
ছিঃ, ছিঃ, করলে তোমার কানে যায় না, কারণ তোমার কান তো মোহে বন্ধ৤ কথার ধ্বনিটা তোমার কানে যাচ্ছে কিন্তু বাণীটা তোমাকে নাড়া দেয় না৤ বর্ষায় কচু পাতায় ধারাপাতের সব জলটাই পড়ে, কিন্তু সে ধরে রাখতে পারে না, তার ধারণ ক্ষমতাই যে নেই৤ মাথা নুইয়ে নুইয়ে সব বৃষ্টিজলটাই সে ফেলে দেয়, বার্তা গ্রহণে সে পুরোপুরি ব্যর্থ৤

 

১৫১
২৬/০৬/২০১২ মঙ্গলবার, সকাল
 
ঢাকের বদ্যি থামলে মিষ্টি লাগে, হে সঙ্গীত সাধক সে কথাটা কি তোমার জানা আছে? তোমার সেটা জানা থাকতেও পারে, কিন্তু যারা চিৎকার শব্দে সে গান বাজিয়ে শোনে তাদের যে তা জানা নেই, সে কথাটা তারা জানে না৤

 
১৫২
২৮/০৬/২০১২ বৃহস্পতিবার, সকাল
 
“মুক্তি ওরে মুক্তি কোথায় পাবি, মুক্তি কোথায় আছে, আপনি প্রভু সৃষ্টি বাঁধন পরে বাঁধা সবার কাছে৤
বৈরাগ্য সাধনে মুক্তি সে আমার নয়৤
মুক্তি নিয়ে এত কথা ধর্মের পরতে পরতে জড়ানো সে কীসের জন্য? এই চরাচর কি তাহলে আসলে বিশাল কারাগার বিশেষ?



১৫৩
২৪/০৭/২০১২ সোমবার, দুপুর

যারা সক্ষম তারা কাজটা করে ফেলে, যারা অক্ষম তারা অজুহাত খোঁজে, আর যারা অপদার্থ তারা অজুহাতও খোঁজে না, তারা কী করে আর কাজটা করবে?




১৫৪
০৭/০৮/২০১২ মঙ্গলবার, বিকেল

ভাব নাহলে কেমন করে কাব্য হবে?
গুঁতো দিয়ে মাথায়,
যায় কি গড়া কাব্য কথায়?
বড় জোর ব্যাকরণ তা হতে পারে,
তাও কি হয়, নিত্য নতুন কথা উঠবে জেগে মন মুকুরে?
অগত্যা তাই হত্যে দিয়ে বসে কাব্যদেবীর খাস দুয়ারে৥





১৫৫
০৫/০৯/২০১২ বুধবার, রাত

লেখাপড়া জানি তাই প্রকাশ্যে ঈশ্বরভক্তি দেখানো চলে না৤ এটা নিরক্ষর মানুষের এলাকা৤ সেখানে ঢুকতে সংকোচ৤ শিক্ষার নির্যাস হল ঈশ্বরের নির্বাসন৤ মন অভুক্ত থাক, তবু ভক্তিমার্গে প্রবেশ রুদ্ধ৤




১৫৬
০৫/০৯/২০১২ বুধবার, রাত

শক্তি যখন ছিল তখন করা হয়নি৤ এখন অশক্ত শরীরে আফশোস হয়, কেন যে তখন করিনি৤ থুড়ি বলে তো আর সেখানে নতুন করে ফিরে যাওয়া যাবে না, কেবল ফিরে তাকানো যাবে মাত্র৤ তাতে আফশোসই বাড়বে, দুঃখ উথলে উঠবে৤




১৫৭
০৫/০৯/২০১২ বুধবার, রাত

পরে হবে বলে রেখে দিলে তা রয়েই যায়, সেটা হয় আর না৤ পরে যখন সময় হল, দেখা গেল তার আর দরকার নেই৤ সবাই চলে গেলে ফাঁকা মাঠে একা একা অনেক গোল দেওয়া যায়, তবে তার কোনও মূল্যই নেই, গোল দেবার দর্শকসাক্ষ্য থাকা দরকার৤




১৫৮
০৮/০৯/২০১২ শনিবার, সকাল

যার যোগ্যতা নেই তাকে দিয়ে কাজ করালে শ্রম এবং অর্থ দুটোই নষ্ট হয়, কাজটাও পণ্ড হয়৤ যোগ্যতা কীভাবে নির্ধারিত হবে? কাজ শিখে নিলেই তো যোগ্যতা অর্জন করা যায়৤ যার বুদ্ধিবৃত্তি অপূর্ণ সে কেমন করে যোগ্যতা অর্জন করবে? সুন্দর মাটির পুতুল সুন্দর হলেও অক্ষম৤





১৫৯
২১/১১/২০১২ বুধবার, বিকেল

হে ঈশ্বর, হে মঙ্গলময়, তোমার করুণায় যেন সবার মঙ্গল হয়৤ কি চাব আর তোমার কাছে, সবার মঙ্গলই তো চাবার আছে৤ সবার মঙ্গল হলে, আমারও মঙ্গল হবে, সবার মধ্যে তো আমিও আছি৤





১৬০
২৭/১১/২০১২ মঙ্গলবার, বিকেল

শিশু যখন ঘুমিয়ে থাকে তখন বাবা-মা তার দিকে নজর রাখে, মশা কামড়ালো কিনা, মাছিতে বিরক্ত করছে কিনা? শিশুর অজ্ঞাতে অজান্তে জারি থাকে সেই নজরদারি৤ ঈশ্বরও সবার অজান্তে আমাদের মঙ্গলের জন্য নজরদারি করে৤




১৬১
০৮/১২/২০১২ শনিবার, রাত

মানুষের একটা টারগেট থাকেই -- খাব, পড়ব, দেখব, শুনব, আড্ডা দেব, বেড়াব নিদেন নেতাগিরি করব৤ কোনও টারগেট ছাড়া কেবলই ভেসে বেড়াব -- এভাবে মানুষের বাঁচা কঠিন৤ নিঃসঙ্গ মানুষ তো বাঁচতে পারে না৤ সশ্রম কারাদণ্ডের চেয়ে নির্জন কারাকক্ষে একাকী দণ্ডভোগ অনেক বেশি কঠিন৤




১৬২
০৮/১২/২০১২ শনিবার, রাত

পেটটা যেন ফারনেস৤ যা কিছু তার ভিতরে দাও তখনই তা জীর্ণ হতে শুরু করে৤ তা সুস্বাদু খাবারই হোক বা বিস্বাদ, অমৃত হোক বা বিষ-- যা-ই সেখানে পড়ুক অমনি জীর্ণ হয়ে তার রস দেহে পাঠায়৤ অমৃতে দেহ গড়ে ওঠে, সুন্দর হয়, বিষে হয় নিপাত৤





১৬৩
২৪/০১/২০১৩ শুক্রবার, দুপুর (১২৹ তাপ)

শীতের কল্পনায় কাতর হোয়ো না, শীত তো অবধারিত, শীত আসবেই৤ এখন যে উষ্ণতাটুকু পাচ্ছ তা উপভোগ করো৤ শীত যখন আসবে তখন তার দুর্ভোগ সয়ো, এখন থেকেই অপেক্ষায় থাকতে হবে না৤




১৬৪
২৪/০১/২০১৩ শুক্রবার, দুপুর (১২৹ তাপ)

একদিন খুব ভোরে ঘুম ভেঙে ছাদে গেলাম৤ তখনও বেশ অন্ধকার, আকাশে অনেক তারা৤ একা একা ছাদে হেঁটে প্রভাতের নৈঃশব্দ্য উপভোগ করলাম৤ একটু পরে আঁধার ফিকে হয়ে এলে, দেখি আকাশের তারারা ক্রমে মুছে যাচ্ছে৤ একটু পরে দেখি আকাশে আর তারা নেই৤ তারারা আছে তবে দেখতে পাচ্ছি না৤ ঈশ্বর তো সব সময়ে প্রকাশিত নয়, তা বলে কি ঈশ্বর নেই?




১৬৫
০৮/০২/২০১৩ শুক্রবার, রাত 

ভালো রংগুলো বড় পলকা, হাতে লেগে সহজেই উঠে যায়৤ বাঁদুরে রংগুলো কিছুতেই মুছতে চায় না, ঘসলেও হাতে মুখে লেগে দাগ থেকে যায়৤ কপালে সুখের লেখাগুলো টেঁকে না, উঠে যায়৤ আর দুর্ভাগ্যগুলো কিছুতেই ছাড়তে চায় না৤ ঘসে ঘসে কপালের চামড়া ছিঁড়ে যায়, তবু দুর্লিপি জ্বল জ্বল করে৥ 





১৬৬
০৮/০২/২০১৩ শুক্রবার, রাত

মরা মশাটাকে নৈবেদ্য করে শিশু ভক্তিভরে বসে কপালে যুক্তকর ঠেকিয়ে খেলার বলটাকে পুজো করছে৤ শিশু যা দেখে তা-ই শেখে৤ তাকে যা শেখানো হয় সে তা-ই শেখে৤ টিভি মহাগুরু যদি নব্য প্রজন্মকে দুষ্কর্মের তালিম দেয়, সে তো তেমনই তৈরি হচ্ছে৤ দিল্লি কাণ্ড নিয়ে মনোবেদনা কত! শুধু প্রতিকারে সদিচ্ছা নেই৤




১৬৭
১৩/০২/২০১৩ বুধবার, সকাল

যেকটা দিন আর আছি কেবলই তা ওষুধ বিষুধের জোরে৤ নিজের জোরে আর কদিনই বা বাঁচলাম, ওষুধেই ঠেলে এনেছে এতটা পথ৤ নাকি অন্য কোনও শক্তির জোরে? ডাক্তার তো কপালে হাত ঠেকায়৤



১৬৮
১৩/০২/২০১৩ বুধবার, সকাল

অন্যদের সুন্দর মুখগুলো দেখে আনন্দে দিন কাটে৤ নিজের মুখ তো আর দেখা যায় না, তা কেমন৤ ভাগ্যিস তা দেখা যায় না, নইলে বিষণ্ণ হয়ে থাকতে হত, নিরানন্দে জীবন কেটে যেত৤ ঈশ্বরকে ধন্যবাদ সবাইকে সুন্দর করে গড়ার জন্য৤





১৬৯
১৩/০২/২০১৩ বুধবার, সকাল

পথের মাঝে একখানি স্বল্পমূল্যের ধাতুমুদ্রা পড়ে আছে, যেটির কোনও মূল্য এখন আর নেই, সরকার তা বাতিল বলে ঘোষণা করেছে৤ কেউ আর তাই সে মূল্যহীন জিনিসের দিকে ফিরেও তাকাচ্ছে না৤ যদি ওই ধাতুখণ্ডটি স্বর্ণ হত, তবে সবাই ঝাঁপিয়ে তা তুলে নিত, তার কত কদর হত৤ যার মূল্যই নেই তার দিকে কেউ ফিরেও তাকায় না৤ জীবনের মূল্য অর্জন করতে পারলাম না, তাই কেউ আমার দিকে তাকালই না৤




১৭০
১৭/০২/২০১৩ রবিবার, সকাল

লোকটা যত অসুন্দর ততোই তার সুন্দর স্বভাব৤ মুখটা যতই কদাকার ততোই তার মধুর বাচন৤ ভাই কেমন আছ-- শুনে খেঁকিয়ে উঠল প্রতিবেশী, ঠিক করে কথা বল্‌ স্লা৤ লোকটা বুঝল খোদা তাকে সুন্দরভাবে কথা বলার জন্য সুন্দর মুখ দেয়নি৤ সে কেন এত মোলায়েম মনোরমভাবে বলবে, এটা লোকে ব্যঙ্গ বলেই ধরে৤




১৭১
১৭/০২/২০১৩ রবিবার, সকাল

এক তরুণী-- তাকে এক-এক চোখ এক-এক দৃষ্টিতে দেখে৤ তরুণ দেখে-- সে কেমন সুন্দরী, বাঘ দেখে-- তার গায়ে কত মাংস, ডাক্তার দেখে-- তার কী রোগ থাকতে পারে? ব্যবসায়ী দেখে-- কত তার টাকা, বোদ্ধা দেখে-- তার পোষাকে রুচির কেমন প্রকাশ, উকিল দেখে-- মামলা লড়বে কিনা? শিক্ষক দেখে-- সে লেখাপড়া জানে কিনা? নারী দেখে-- কেমন পরেছে শাড়িটা? স্বর্ণকার দেখে-- গয়নাগুলো নকল কিনা? ভিখিরি দেখে-- ভিক্ষা পাবে কিনা? দুষ্টামিরত ছোটো ভাইটা দেখে-- মারবে না তো? বাবা দেখে-- মেয়েটা ডাগর হয়েছে এবার বিয়ে দিতে হবে, কামুক দেখে-- ডবকা ছুঁড়ি! আমি দেখি-- আমার মতোই এক জীব তার জীবনের খানিকটা পথ মাত্র পেরিয়ে এসেছে, আরও কত দুঃখ কষ্টই না তাকে ভবিষ্যতে সইতে হবে৥




১৭২
১৭/০২/২০১৩ রবিবার, দুপুর 

লোকটা ছাদে পায়চারি করছিল৤ ছাদটা ভাবে-- একটা ওজন ক্রমাগত এদিক থেকে ওদিকে যাচ্ছে, টবের ফুল ভাবে-- ছিঁড়ে নেবে না তো! খাবার খোঁজে কাকটা ভাবে-- বার বার কেন তাড়া করছে? পাশের ছাদে যুবতী ভাবে-- আমাকে দেখার জন্য কেমন ছোঁক ছোঁক করছে, পড়শি ভাবে-- বেশ জমেছে তো দেখি কদ্দূর গড়ায়? পায়ে পিষে যাওয়া পিঁপড়েটা ভাবে-- ওঃ, যমদূত! উড়ন্ত চিল ভাবে-- নড়াচড়া করা ওটা ইঁদুর হলে খাওয়া যেত, ঘাম ভাবে-- এবার ঝরে পড়ি অনেক তো খেটেছে, লোকটি ভাবে-- বাঁচব অনেক দিন ঘাম ঝরিয়ে পায়চারিতে জমা চর্বি গেল ঝরে৤




১৭৩
০৯/০৩/২০১৩ শনিবার, সকাল 

যে করণীয় কাজ আমিই করিনি, এখন আমিই সে কাজ অন্যকে করার উপদেশ দিচ্ছি৤ এসব অন্যকে কেবল প্রতারণা নয়, এটা আত্মপ্রতারণা, নিজের বিবেককে বিদ্ধ করা৤




১৭৪
০৯/০৩/২০১৩ শনিবার, সকাল

একটা ব্যাং নাকি উঁচু এক পাঁচিল টপকাতে চেয়েছিল৤ সে অনেক লাফালাফি করল জীবনভর৤ কিন্তু শ্রমই হল, সময় গেল, ব্যাং সে পাঁচিল টপকাতে পারল না৤ ব্যাং জানে না-- তার অসাধ্য কাজ সে করতে চায়৤ জীবন গেল ব্যাং মল, পাঁচিল আর টপকানো হল না৤




১৭৫
০৩/০৪/২০১৩ বুধবার, সকাল

বাঁধে যদি ছিদ্র হয়, তবে ছিদ্র মেরামত করে দিলে বাঁধ ঠিক হয়ে যায়৤ বাঁধে যদি অনেক ছিদ্র হয়, তবে তাও হয়তো মেরামত করা যাবে৤ কিন্তু যদি সর্বত্রই ছিদ্র হয়, বাঁধ নড়বড়ে হয়ে যায়, তবে সে বাঁধ রাখার কী উপায়? যৌবনে ঔষধ প্রয়োগে সহজে রোগ উপশম হয়, যখন বৃদ্ধ বয়সে বাঁধের সর্বত্র ছিদ্র তখন ঔষধে আর কী হবে?


নতুন কণিকা---

১৭৬
০৩/০৩/২০১৮ শনিবার
সুন্দর করে সেজেগুজে, শোভন রঙিন পোষাক পরে, অল্প বয়সি নারীরা নাচছিল, তাদের অপূর্ব নাচের ভঙ্গী, হাতের ললিত বিন্যাস দেখে মনে হল, সাপেরা হাত হয়ে কিলবিল খেলছে৤ ছোবল দেবার জন্য, যেন তা হেলছে দুলছে৤



১৭৭
০৩/০৩/২০১৮ শনিবার
সভ্যতা যে কত এগোচ্ছে, তা বোঝা যায় সিনেমা অভিনেত্রীদের পোষাক দেখে৤ শাক দিয়ে তারা কেমন মাছ ঢাকে৤ দেখলাম শুধু জামার দুটো হাতা পরেছে, জামাটা আভাসে৤ বোমার মতো নাম ফেটে গেল৤ আর পায় কে, টাকার স্রোত এসে সদর দিয়ে বাড়িতে ঢুকতে লাগল৤



১৭৮
০৩/০৩/২০১৮ শনিবার
কবি অপূর্ব দত্ত লিখেছেন,
“মা বলল- চুপ করো তো
ওর ফল্টটা কিসে,
স্কুলে কেন বেংগলিটা
পড়ায় না ইংলিশে?
ঠিকই তো, কিন্তু তিনি খবর পাননি যে সরকারি টিভিতে বাংলা সংবাদটা হয় যে হিন্দিতে৻তাই বাংলার আর দুঃখ নেই, বাংলাটা তাই শিখছে সবাই, অতি সহজেই৤



১৭৯
০৩/০৩/২০১৮ শনিবার
আমি যে বাঙালি, তাই অন্য বাঙালির মতোই আমার বুদ্ধিটা বেশি৤ যারা বুদ্ধিমন্ত তারা কি আর গায়ে খাটে? গায়ে খাটা বুদ্ধিহীন নির্বোধের কাজ৤ আমি এবং আমরা তেমন নির্বোধ কেন হব? তাই দিন দিন শুঁটকি হতে থাকি, পেটে যে খাবার নেই৤ বিড়ি খেয়ে দিন কাটে না৤ তোমরা যা বলো ভাই, সেই কাজেই ব্যস্ত আছি যাতে খাটনি নাই৤ লক্ষ্মী ছাড়া কি আর এমনি! খেটেখুটে লক্ষ্মীলাভ? সে আমার হবে না বাপ৤
১৮০
০৩/০৩/২০১৮ শনিবার
অকাজেই কেটে যায় দিন৤ আমি যে কেজো লোক চাপে তারই, কেটে যায় দিবস শর্বরী৤ কে করেছে মারামারি তার বিচার করি৤ অমুক ঘোষ কী করেছে দোষ, আধার কার্ড পায়নি কে, করি তারই তদারকি-- ছেলেটার পড়াটা দেখা হয় না, ফেল করেছে এবার-- থুড়ি, কী যে করেছে তার ঠিকানা পাইনে৤ ধুত্তোর ফেল তো করতেই পারে না, পাশ তো হয়েই আছে, শুধু নামটা লেখানো দরকার৤ তাহলে আর ফেল করে সাধ্যি কার?


১৮১
০৩/০৩/২০১৮ শনিবার
ভালো লোকের কাছে সবাই সুবিধে নেয়৤ তা ব্যক্তিগতভাবে বা সামাজিকভাবে কখনও প্রত্যর্পণ করেও না৤ ভালো লোক হয় তো বুদ্ধিহীন নয়, কিন্তু নিরীহ৤ কপট দাপট দেখালেও অনেক কাজ হয়৤ সেটাও সে পারে না৤ ভালো লোক হল-- দাম না-দেওয়া ভেলিগুড়ের মতো, খেতে মিষ্টি, দামও মেটাতে হয় না৤



১৮২
০৩/০৩/২০১৮ শনিবার
পরিস্থিতি অনুকূল করে নিতে হয়, সব কিছু তো আর এমনি এমনি অনুকূল থাকবে না৤ জীবনটা অত সহজ নয়৤ সবাই সুযোগ  খোঁজে, সুবিধে পেলে মাথায় চপে বসে৤ নিজেকে সবদিক থেকে রক্ষা করে চলতে হবে৤ খর সূর্যের আলো চোখে পড়লে, গাছের আড়ালে সরে যেতে হবে৤




১৮৩
০৩/০৩/২০১৮ শনিবার
টাকা গুণছিলাম, অনেক টাকা, আজকের আয়৤ আজকের বিক্রিবাটা৤ গুছিয়ে সাজিয়ে গুণে তুলে রাখতে ঘণ্টাখানেক গেল৤ প্রায় উনসত্তর হাজার টাকা৤ সিন্দুকে রেখে উঠব ভাবছি৤ বেয়ারা এসে বলল-- সাহেব, রাত হয়েছে, সবাই চলে গেছে৤ কিছু খাবার এনে দিয়ে যাব? মনে হল সবাই ঘরবাড়ি পরিবারের জন্য ব্যস্ত৤ কিছু না বলে বসে রইলাম৤ জীবনে টাকার খিদমত খাটাটাই কি সব?


১৮৪
০৩/০৩/২০১৮ শনিবার
কুকুরগুলো রাস্তায় খাবার নিয়ে কামড়া কামড়ি মারামারি করছিল৤ খিদে বড় কঠিন জিনিস, অসহ্য অসহায়, চরম অবস্থা৤ মানুষও তো রাস্তায় ডাস্টবিনে খাবার খুঁজে ফেরে৤ আচ্ছা যদি মানুষকে খেতে না হত? তাহলে জীবনের এই দুর্দশা হত না৤

খেতে না হলে, খিদের কষ্ট না থাকলে, মানুষ অঢেল সময় পেত, আর সেই উদ্বৃত্ত সময় ব্যয় হত তার কামড়া কামড়ি করতে৤ খিদের কষ্টের চেয়ে জীবন আরও অনেক বেশি দুর্বিসহ হত৤ বেঁচে থাকাটাই অভিশাপ হয়ে উঠত৤ জঠর-যন্ত্রণা আছে বলে মানুষ হয়তো বেশি ভালো বাঁচে৤


১৮৫
০৩/০৩/২০১৮ শনিবার
ভূতকে ভয় করি না৤ ভূত বলে কিছু তো নেই৤ ভয়টা আছে৤ অবচেতন মনে তার অবস্থান৤ তাই অন্ধকারে ভয়, নির্জনে ভয়, গোটা বাড়িতে একা থাকার ভয়৤ ভয়টা অনিশ্চয়তার জন্য৤ বাঘ সাপ অজুহাত৤ মানুষ সঙ্গ চায়৤ এজন্যই একক কারাবাস কঠিন শাস্তি৤



১৮৬
০৩/০৩/২০১৮ শনিবার
মানুষের পেটে জন্মালেই মানুষ হয় না৤ মানুষ হওয়া বড় কঠিন৤ কেউ হিন্দু, কেউ মুসলমান, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান৤ সবাই নিজের নিজের দলের লোক৤ যে-মানব শিশুটি জন্মালো সে ক্রমে দলভুক্ত হয়৤ একে অন্যকে চেনে না, মানুষ কোথায়?


১৮৭
১০/০৩/২০১৮ শনিবার, বিকেল
শহুরে মানুষের সমস্যা-- খেয়ে মোটা হয়, আর জিমে গিয়ে, বা যোগায়(বলে ইয়োগা) গিয়ে রোগা হয়৤ মাঝখান থেকে কত খাদ্য যে চর্বি হয়ে ঝরে যায়!


১৮৮
১২/০৩/২০১৮ সোমবার, সকাল
ধোঁয়া উড়ছিল৤ তাদের শুধোলাম, তোমারা কে? কোথায় যাও? জবাব এলো, “আমরা যথা হইতে আসি, তথায় ফিরিয়া যাই”৤ দেখলাম দূরে এক অগ্নি পিণ্ডের চারিদিক ঘিরে কয়েকজন লোক জড়ো হয়ে৤ তাঁদের কেউ কাঁদছে, কেউ হতাশ হয়ে, যে দিকে ধোঁয়া উড়ে যাচ্ছিল, সেই আকাশের দিকে তাকিয়ে৤


১৮৯
১২/০৩/২০১৮ সোমবার, সকাল
অন্যেরা অপারগ, অপদার্থ৤ আমার চেয়ে গুণবান কে আছে? আমার মতো কাজটা এত ভালো আর কেউ পারে না৤ পারলেও সেটা আমার চেয়ে খারাপ করে৤ আমি নইলে, এ জগৎটা চলত কেমন করে? (তুমি ম’লে এ জগৎটার কী হবে রে ভাই!)



১৯০
১৩/০৩/২০১৮ মঙ্গলবার৤
তেল নুনের জোগাড়ই মানব জীবনের শেষ কথা নয়৤ এ সমুদ্রে অনেক রত্নরাজি আছে তা ডুব দিয়ে খুঁজে বের করতে হয়৤ সে কাজ শিক্ষা, সংস্কৃতি, রুচি ইত্যাদির সঙ্গে জড়িত৤ তাই চাই শিক্ষা, যা জীবনকে উন্নত করে উচ্চে তুলে ধরবে৤


১৯১
১৩/০৩/২০১৮ মঙ্গলবার৤
চারিদিকে এত কলরোল, সবাই নিজেকে জাহির করতে ব্যস্ত৤ আমি আমার কথা বলতে যেতেই আর একজন তার কথা বলতে শুরু করল, সে শুরু করতেই অন্য আর একজন তার কাহিনি বিস্তারে ব্যস্ত হল, তার মাঝেই আর একজন তার কথা বলে যাচ্ছে৤ কেউ কারও কথা শুনছে না৤ শোনার ইচ্ছে নেই, শোনানোর ইচ্ছে প্রবল৤ সবাই তো আমার মতো নিজেকে জাহির করতে ব্যস্ত, শুনবে কে?



১৯২
১৩/০৩/২০১৮ মঙ্গলবার৤
নারী হল জগতের ভিত, তাদের দাবিয়ে রাখলে ভিতটাই তৈরি হয় না৤ চাই উন্নত নারী শিক্ষা, রুচি, মানবগর্ব৤ নারীমুক্তি মানে নারীর ক্রয়-বিলাস ব্যাপ্তি নয়৤ নারীশক্তি জীবনকে উন্নত, মুক্ত, গর্বিত করবে৤ পরিবারের চালন নারীই করে, পুরুষ তার সুরক্ষা দেয়৤

১৯৩
১৩/০৩/২০১৮ মঙ্গলবার৤
সমাজকে উন্নত কর্মশীল করতে হলে চাই উপযুক্ত নারীশিক্ষা৤ নারীই পরিবারকে টেনে তোলে, এগিয়ে নিয়ে যায়, জ্ঞান সমৃদ্ধ করে৤ নারীকে আটকে রাখলে জীবনই তো খাঁচাবন্দী, তার বাড়বৃদ্ধি হবে কেমন করে৤


১৯৪
১৩/০৩/২০১৮ মঙ্গলবার৤
সুদর্শন কিনা তার উপরে মানবতা নির্ভর করে না৤ যে সুন্দর, সে তো উদ্ব্যস্ত থাকে নানা স্তুতিতে, তার মানবতা প্রকাশের সুযোগ কই? যে অসুন্দর তার জীবন নিয়ে এত শুচি-প্রয়াস নেই, অথবা নেই এত অহেতুক জীবনের ভয়৤ সে-ই মানুষের পরম সহায়ক৤ তারাই ধরণীর ধাত্রী, ধাতা৤ মুখখানি দেখতে সুন্দর নয়, কেবলমাত্র সে কারণে তারা মানবিক মূল্য পায় না৤


১৯৫
১৩/০৩/২০১৮ মঙ্গলবার৤
অসুস্থ হলে মানুষ অসহায় পরনির্ভরশীল হয়ে পড়ে, অন্যের দয়া তখন তার অবলম্বন৤ সেই মানুষই যখন সুস্থ সবল ছিল তখন তার কী দাপট! অবস্থার হেরফেরে দুর্দশা হতে পারে, সেটা কে মনে রাখে?



১৯৬
১৩/০৩/২০১৮ মঙ্গলবার৤
নির্জনতা মানুষকে আনন্দ দেয়৤ তা সাময়িক৤ সঙ্গ না পেলে মানুষ বেঁচে থাকার আনন্দ পায় না৤ সেই সঙ্গ যখন ক্রমে শব্দ, আলো, ধুলোয় কলুষিত হয়, তখন আবার মানুষ আনন্দহীন হয়ে পড়ে৤ যতই সীমা পার, ততোই তা দুঃখ আনে তার৤


১৯৭
১৩/০৩/২০১৮ মঙ্গলবার৤
মানুষ যে হারে বাড়ছে, তা রোধ না করলে মশাকেও ছাপিয়ে যাবে৤ মশা বাড়লে কীট নাশক দিয়ে তার নাশ হয়৤ মানুষ নাশ হবে নিজের দোষে৤



 
১৯৮
১৩/০৩/২০১৮ মঙ্গলবার৤
গত শতকের শুরুতে মানুষ ছিল যা, শতক পেরিয়ে তা ছাপিয়ে গেছে সীমারেখাকে৤ সীমা না মানলে প্রকৃতি নিজহাতে তা নিষ্করুণভাবে নিয়ন্ত্রণ করবে৤ মহামারীতে সাফ হয়ে যাবে অর্ধেক পৃথিবী৤



১৯৯
১৩/০৩/২০১৮ মঙ্গলবার৤
মানুষ বড়ই বুদ্ধিমান প্রাণী৤ আত্মরক্ষার জন্য সে কামান, বন্দুক বানিয়েছে, বাঘ হাতি সাপ আর মানুষকে কিছু করতে পারবে না৤ এমনকী ‘মানুষও’ যাতে কিছু করতে না পারে তার জন্য সে বানিয়েছে পরমাণু বোমা৤ একবার ছুঁড়লে পৃথিবী উলটে গিয়ে সব মানুষ ঠাণ্ডা৤



২০০
১৩/০৩/২০১৮ মঙ্গলবার৤
বিজ্ঞানী হকিং বলেছেন মানুষকে অন্য গ্রহে যেতে হবে৤ পৃথিবীর অন্তিম দিনের ঘণ্টাধ্বনি যে শুনেছে, সাবধান করছে সে বারে বারে৤ নির্বোধেরা অট্টরবে হাস্য করে৤


--  ০০  --


পরবর্তী কণিকা-৩ 
লিংক:

 

2 comments:

Imran Hasan said...
Thanks For sharing. Its look there are new & very Important Artical Here.
This blog help me very Much. Thanks again.
Go Ahead, we are always with You. and Share More & More Updates Like This.
Manojkumar D Girish said...
ইমরান হাসানের বক্তব্যের জন্য ধন্যবাদ৤ অবশ্য এগুলিকে Article হিসেবে লিখিনি৤ কিছু চিন্তার ঝলক মাত্র৤ ধন্যবাদ৤ মন্তব্য এতদিন চোখে পড়েনি, কারণ সাইট খুলিনি৤ যদি বাংলায় সহজে লিখতে চান তবে নিচের লিংক থেকে ফন্ট প্যাকেজ ফ্রি ডাউনলোড করে নিন৤ সেখানে ফন্ট এবং কিবোর্ড দেওয়া আছে, আছে অন্যান্য অনেক প্রয়োজনীয় ফাইল, যা নানা কাজে লাগবে৤
লিংক: https://sites.google.com/site/ahanlipi/font-download/AhanLipi-Bangla14.zip

মনোজকুমার দ. গিরিশ
মণীশ পার্ক, কোলকাতা
০৩/০৩/২০১৮